উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

• ২৭ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :
পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশটাকে সবুজ বাংলাদেশ করতে চাই। এখানে যে সবুজের কত বৈচিত্র অন্য দেশ ভাবতেও পারবে না। বাংলাদেশে আসলে বৃহ্মরোপন কর্মসূচী দরকার ছিলো না। এখানে এতই গাছ ছিলো, আমরা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপূর ছিলাম, আমরা এমন অত্যাচার করলাম প্রকৃতিকে, এখন আবার সেটি সংশোধন করতে বৃহ্মরোপন করতে হচ্ছে।

রোববার টাঙ্গাইল মধুপুর শাল বনে শাল চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে এই কাজটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ধ্বংস প্রাপ্ত ব্যবস্থাকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নগারায়ন ও শিল্পায়নের মুখোমুখি দার করিয়েছে, যা আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। আমাদের ধ্বংসাত্বক উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেকে নতুন প্রজন্মকে প্রতিভাবান্ধব উন্নায়নের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, মানুষের জন্য মায়া নেই বাঘের জন্য মায়া,সে মায়াটাই তো আসল মায়া। মানুষের জন্য মায়া থাকবে কোন না কোন স্বার্থের জন্যে আর যখন বন্য প্রানী বা পুশুর
জন্য মায়া দেখান সেখানে আপনার কি স্বর্থ থাকতে পারে.. এটাই তো হল নিরস্বর্থ ভালবাসা।
পরে মধুপুর বনের লহরিয়ায় ময়ূর অবমুক্ত করনসহ আর দুটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীসহ বনে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১২৯ টি মামলা প্রত্যাহার– উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
টাঙ্গাইলে মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীসহ বনে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১২৯ টি মামলা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শালবনে আবার শাল গাছ ফেরত আনা হবে। তাই আসন্ন বর্ষায় বেশি বেশি শাল গাছ রোপন করতে হবে। এখানে যারা বনবাসী আছেন তাদের এই বন রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে হবে। এসব কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। বনে যে জায়গা বেদখল আছে সে গুলো চিহ্নিত করতে সীমানা পিলার দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শালবনে বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপন করা হয়। সে গুলো ক্রমান্নয়নে বন্ধ করা হবে।

রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল বনবিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শাল চারা রোপণকালে এসব কথা বলেন।

এছাড়া মধুপুর বনাঞ্চলের রাজাবাড়ী এলাকায় সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ পরিদর্শন ও সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুন:প্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পের কার্যক্রমও উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। উপস্থিত ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রসাশক শরীফা হক, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে জনসেবা চত্বরে ভূমি মেলা ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন তিনি।